প্রকাশিত:
২ সেপ্টেম্বার ২০২৪, ১১:১৮
মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে একটা আক্ষেপ অনেক দিন ধরেই। এমন দুর্দান্ত ব্যাটিং করার পরও আট নম্বরে নামতে হয় তাঁকে। গতকাল রাওয়ালপিন্ডিতে ২৬ রানে ৬ উইকেট পতনের পর ৭৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে মিরাজ যেন সে আক্ষেপটা আরও বাড়িয়ে দিলেন।
অবশ্য তরুণ এ অলরাউন্ডার যেভাবে ব্যাটে-বলে নিজেকে মেলে ধরছেন, তাতে সে আক্ষেপ চাপা পড়ে সম্ভাবনার দারুণ এক দিগন্ত ফুটে উঠেছে। চলতি পাকিস্তান সফর তো এরই মধ্যে স্মরণীয় করে ফেলেছেন তিনি।
যখনই দলের প্রয়োজন হচ্ছে, তখনই এগিয়ে আসছেন মিরাজ। প্রথম টেস্টে মুশফিকের সঙ্গে ১৯৬ রানের জুটি গড়ে দলকে সুবিধাজনক অবস্থানে পৌঁছে দেন মিরাজ। সপ্তম উইকেটে রেকর্ড এ জুটিতেই বাংলাদেশের জয়ের বীজ রোপিত হয়েছিল। এর পর বল হাতে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে ঐতিহাসিক জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন। দ্বিতীয় টেস্টেও দলের বিপদে বুক চিতিয়ে লড়ছেন তিনি।
শনিবার সাইম আইয়ুব ও শান মাসুদ যখন দ্বিতীয় উইকেটে ১০৭ রান যোগ করে বড় স্কোরের ভিত গড়ে ফেলেছিলেন, তখনই পাল্টা আঘাত করেন মিরাজ। শুধু এ দু’জনকে বিদায় করেননি, ৫ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের ইনিংসও বেশি দূর যেতে দেননি।
এর পর গতকাল ব্যাট হাতে চরম বিপদে দেখালেন কারিশমা। ৭৮ রানের ইনিংসটি দিয়ে দলকে কেবল লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনেননি, বেশ কয়েকটি রেকর্ডও করেছেন। সপ্তম উইকেটে লিটনের সঙ্গে রেকর্ড জুটি গড়েছেন। আর গত চার বছরে টেস্টে আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন তিনি। এ তালিকায় দুই নম্বরে আছেন ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
আট নম্বরে বা এর পর নেমে বাংলাদেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭টি হাফ সেঞ্চুরিও মিরাজের। ৬টি হাফ সেঞ্চুরি নিয়ে এ তালিকায় দুই নম্বরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের মাটিতে অলরাউন্ডারদের এলিট ক্লাবেও ঢুকে গেছেন তিনি।
পাকিস্তানে এক টেস্টে হাফ সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব সর্বোচ্চ পাঁচবার কিংবদন্তি ইমরান খানের। কপিল দেব ও ওয়াসিম আকরামের তিনবার। ইন্তেখাব আলম ও আব্দুল রাজ্জাকের সমান দু’বার এ কৃতিত্ব দেখিয়েছেন মিরাজ।
প্রিয় নওগাঁ/এফএস
মন্তব্য করুন: