priyonaogaon@gmail.com বুধবার, ৯ই অক্টোবর ২০২৪, ২৪শে আশ্বিন ১৪৩১
ব্রেকিং:
  • দুদকের তালিকায় ৩ শতাধিক প্রভাবশালী***, হাসিনার পতনের এক মাসে দেশে যেসব পরিবর্তন ঘটেছে***, কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে যা করলেন দুই সাবেক আইজিপি***

টাকা পাঠালেই ফেরত

বিকাশ নম্বর লিখে রেখে মিটার চুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত:
১৯ নভেম্বার ২০২৩, ০৯:৩০

সংগৃহিত ছবি

নওগাঁর মান্দায় পল্লীবিদ্যুতের মিটার চুরি করে বিকাশ নম্বর লিখে রেখে যাচ্ছে চোর চক্র। সেই নম্বরে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা পাঠালে ফেরত দেওয়া হচ্ছে মিটার। এ অভিযোগে থানায় সাধারণ ডাইরি করেছেন ভুক্তভোগীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০ অক্টোবর (শুক্রবার) রাতে উপজেলার কশব ইউনিয়নের পাঁজরভাঙ্গা গ্রামের আব্দুস সোবহান, চকবালু গ্রামের আব্দুর রহমান ও আমিনগঞ্জ গ্রামের মো. মনছুর রহমানের চালের মিল থেকে তিনটি বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করে নিয়ে যায় চোর চক্র।

পরে ওই স্থানে রেখে দেওয়া হয় একটি কাগজ। সেখানে লেখা থাকে ‘মিটার নিতে ফোন করেন’। এর নিচে জুড়ে দেওয়া হয় একটি মোবাইল ফোন নম্বর।

এ বিষয়ে কশব ইউনিয়নের চকবালু গ্রামের ভুক্তভোগী আব্দুর রহমন বলেন, ‘মিটার চুরির পর সেখানে একটি কাগজ পেয়েছিলাম। সেখানে লেখা ছিল, মিটার নিতে ফোন করেন।

পরে চোর চক্রটির মোবাইল নম্বরে কল দিলে আমাকে মুঠোফোনে হুমকি দেয়। ক্ষতির ভয়ে পাঁচ হাজার টাকা বিকাশ করি। এরপর চোর চক্রটি একটি নির্দিষ্ট স্থানে মিটারটি রেখে গেলে তা ফেরত পাই।’

একই ইউনিয়নের আমিনগঞ্জ গ্রামের ভুক্তভোগী মো. মনছুর রহমান বলেন, ‘২০ অক্টোবর রাত ১০টায় বসতবাড়ির বৈদ্যুতিক পিলারে মিটার লাগানো ছিল। ২১ অক্টোবর ভোর ৫টায় গিয়ে আমি যথাস্থানে মিটার দেখতে না পেয়ে তাৎক্ষণিক উপজেলার বিদ্যুৎ অফিসের সাব জোনে জানাই।

কিন্তু ক্ষতির ভয়ে থানায় না জানিয়ে চোর চক্রকে আমি ওই নম্বরে ৫ হাজার টাকা বিকাশ করি। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা মিটার ফেরত দেয়নি। পরে ২৫ অক্টোবর বুধবার থানায় সাধারণ ডায়রি করি।’

পাঁজরভাঙ্গা গ্রামের আরেক ভুক্তভোগী মো. সোবহান আলী এভাবে বিকাশের মাধ্যমে টাকা দিয়ে চুরি হওয়া মিটার ফেরত পেয়েছেন বলে জানান।

এ ব্যাপারে নওগাঁ পল্লীবিদ্যুৎ-১-এর আওতায় সতিহাট অভিযোগ কেন্দ্রের এজিএম শামীম আহমেদ বলেন, ‘কশব ইউনিয়ন এলাকায় চাল মিলের বৈদ্যুতিক মিটার চুরির ঘটনা জেনেছি।

চুরি হওয়া তিনটি মিটারের স্থানেই বিকাশ নম্বর ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমরা অফিস পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ করি। তবে একটি মিটার পাওয়া গেছে। সেটি যাচাই-বাছাই করে নতুন একটি মিটার স্থাপন করা হয়েছে।’

মান্দা থানার ওসি মো. মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, ‘মিটার চুরির বিষয়ে থানায় দুটি জিডি হয়েছে। চোরের রেখে যাওয়া মোবাইল নম্বর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে অনুসন্ধান চলছে। শিগগিরই চোরচক্র ধরা পড়বে।’

প্রিয় নওগাঁ/এফএস


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর