priyonaogaon@gmail.com সোমবার, ১০ই মার্চ ২০২৫, ২৬শে ফাল্গুন ১৪৩১
ব্রেকিং:
  • জানুয়ারি থেকে স্কুল-কলেজের সব শিক্ষকের এমপিও ইএফটিতে***, যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের সঙ্গে বসতে চান পুতিন***, রোববার শপথ নেবেন নতুন ইসি***, স্বচ্ছ নির্বাচন করে উদাহরণ সৃষ্টি করতে চান নতুন সিইসি***, জনগণ যাতে ক্ষমতার মালিক হতে পারেন তেমন দেশ গড়তে চাই: ড. ইউনূস***, এক যুগ পর সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া***, দুদকের তালিকায় ৩ শতাধিক প্রভাবশালী***,

নিখোঁজের ১৩ দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার

বগুড়া

প্রকাশিত:
২৯ সেপ্টেম্বার ২০২৩, ২০:৪১

ফাইল ছবি

বগুড়ার শাজাহানপুরের খাদাসপাড়া গ্রামে থেকে নিখোঁজের ১৩ দিন পর আব্দুল্লাহ সাগর (২৩) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পিবিআই। মুক্তিপণ আদায়ের জন্য অপহরণ করতে গিয়ে একই গ্রামের তিন প্রতিবেশী তাকে হত্যা করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। গ্রামের এক ডোবায় ককচুরিপানার মধ্যে সাগরের লাশ মাটিচাপা দেওয়া হয়।

নিখোঁজের আগে তার ফোনে আসা শেষ কলের সূত্র ধরে পিবিআই হত্যাকারীদের শনাক্ত করে। সাগর উপজেলার খাদাস পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে।

এই ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা হলো-শাজাহানপুর উপজেলার খাদাস পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত ছলিম উদ্দিনের ছেলে আবু মুসা (৩৮), আজিজার রহমানের ছেলে কালাম (২৬) ও খাদাস আলুবাড়ী গ্রামের মৃত হায়দার আলীর ছেলে বাবলু হোসেন (২৫)।

তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার দুপুরে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় পিবিআই সদস্যরা গ্রেফতার মুসাকে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরিয়ে লাশ চাপা দেওয়া ডোবাতে নিয়ে যায়। তিনি সেখানে পিবিআই সদস্যদের লাশের অবস্থান শনাক্ত করে দেন। 

বগুড়া পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার কাজী এহসানুল কবির জানান, গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে গ্রেফতার মুসা নিহত সাগরকে ফোনে কল দিয়ে বাড়ির পাশে বাঁশবাগানে ডেকে নেন। অপহরণের উদ্দেশ্যে গলায় গামছা পেঁচিয়ে সাগরকে অজ্ঞানের চেষ্টা করে মুসা ও গ্রেফতার দুই আসামি। ওই সময় নিশ্বাস আটকে সাগর জ্ঞান হারালে ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। পরে তার মরদেহ পাশের ডোবায় কচুরিপানার চাপা দেয় আসামিরা। 

ঘটনায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর শাজাহানপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন নিহতের পরিবার। পরে সাগরের মা ঋর্ণা বেওয়া অজ্ঞাতদের আসামি করে অপহরণ মামলা দায়ের করেন। 

তিনি আরও জানান, থানায় জিডি হওয়ার পর থেকেই পিবিআই ছায়া তদন্তে নামে। তথ্য প্রযুক্তির সাহায্য ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মুসাকে শনাক্ত করা হয়। পরে গত বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার মেহায়তপুরে অভিযান চালিয়ে বগুড়া পিবিআই তাকে গ্রেফতার করেন। পরে তার দেওয়া তথ্যে ওইরাতেই অভিযান চালিয়ে নিজ নিজ বাড়ি থেকে কালাম ও বাবুলকে গ্রেফতার করা হয়। 

পুলিশ সুপার কাজী এহসানুল কবির আরও জানান, সাগরকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চির করা হয়। প্রাথমিকভাবে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের জন্য এই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর সাথে আর কেউ জড়িত আছে কিনা খতিয়ে দেখা হবে। 

নিহত সাগরের চাচা রায়হান ইসলাম জানান, সাগর অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের ছেলে। কারও সাথেই তার ঝামেলা ছিল না।

 

প্রিয় নওগাঁ/এফএস


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর