priyonaogaon@gmail.com সোমবার, ১০ই মার্চ ২০২৫, ২৬শে ফাল্গুন ১৪৩১
ব্রেকিং:
  • জানুয়ারি থেকে স্কুল-কলেজের সব শিক্ষকের এমপিও ইএফটিতে***, যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের সঙ্গে বসতে চান পুতিন***, রোববার শপথ নেবেন নতুন ইসি***, স্বচ্ছ নির্বাচন করে উদাহরণ সৃষ্টি করতে চান নতুন সিইসি***, জনগণ যাতে ক্ষমতার মালিক হতে পারেন তেমন দেশ গড়তে চাই: ড. ইউনূস***, এক যুগ পর সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া***, দুদকের তালিকায় ৩ শতাধিক প্রভাবশালী***,

সংস্কারের পরই নির্বাচন

জাতীয় ডেস্ক

প্রকাশিত:
১ সেপ্টেম্বার ২০২৪, ১১:৪২

সংগৃহিত ছবি

রাষ্ট্র কাঠামোর প্রয়োজনীয় সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করে যৌক্তিক সময়ে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য অন্তর্র্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। সেই সঙ্গে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং স্বৈরাচার ও দুঃশাসন প্রতিরোধে দেশের নির্বাচনব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, প্রশাসন, বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রের সব অঙ্গকে ঢেলে সাজাতে সরকারকে প্রস্তাব দেওয়ার পাশাপাশি এ ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন নেতারা। খবর দেশ রূপান্তর।

দেশ রূপান্তর জানাচ্ছে, পাশাপাশি সরকার পতন আন্দোলনে হত্যার দ্রুত বিচারে ট্রাইব্যুনাল গঠন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ, হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার, সংবিধানে ‘আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপনের দাবি উঠে এসেছে।

গতকাল শনিবার বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সিরিজ মতবিনিময়কালে এসব প্রস্তাব এসেছে। বৈঠকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান ও ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা এ এফ এম খালিদ হোসেন ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকার অযৌক্তিক সময় নষ্ট করবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ ছাড়া সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে আসন্ন দুর্গাপূজায় কেউ যাতে নৈরাজ্য করতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে ইসলামি দলগুলোর প্রতিও এ সময় আহ্বান জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে সব রাজনৈতিক দল রাষ্ট্র সংস্কার ও বিভিন্ন দাবির বিষয়ে পৃথকভাবে লিখিত প্রস্তাব পেশ করে। দলগুলোর শীর্ষ নেতারাও তাদের আলোচনার ফলাফল সম্পর্কে গণমাধ্যমকে জানান।

খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম, হেফাজতে ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত আন্দোলন ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের জ্যেষ্ঠ নেতারা বেলা ৩টায় অন্তর্র্বর্তী সরকার প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। চলে ঘণ্টাব্যাপী।

এরপর বিকেল ৪টায় ইসলামী আন্দোলনের নেতারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। একে একে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), জাতীয়তাবাদী সমন্বয় জোট, ১২-দলীয় জোট, বাংলাদেশ জাসদ, গণফোরাম, জাতীয় পার্টিসহ বেশ কয়েকটি দলের শীর্ষ নেতারাও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করেন। রাত ৮টা পর্যন্ত এ আলোচনা চলে।

একজন দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নন, প্রস্তাব ৬ ইসলামি দলের

দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে এক ব্যক্তির দুই মেয়াদের বেশি না থাকার প্রস্তাব দেওয়ার পাশাপাশি একটা যৌক্তিক সময় নিয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করে প্রধান উপদেষ্টাকে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করতে বলেছেন ছয় ইসলামি দলের নেতারা। নির্বাচনে অযথা কালবিলম্ব যেন না করা হয়, সে কথাও জানিয়েছেন তারা।

হেফাজতে ইসলামের নেতা ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ইসলামি দলগুলোর এমন প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস একমত পোষণ করে প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর কালবিলম্ব না করে নির্বাচনের দিকে চলে যেতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন। যৌক্তিক সময়টা কত দিনের সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মামুনুল বলেন, ‘এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো মেয়াদ নিয়ে আমরা আলোচনা করিনি।’

প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিটি দল সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, মৌলিকভাবে যে প্রস্তাবগুলো এসেছে, তার মধ্যে অন্যতম ছিল নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কার। দেশব্যাপী সব ভোটারের প্রতিনিধিত্ব যাতে জাতীয় সংসদে নিশ্চিত করা যায়, সে ধরনের একটা মৌলিক পরিবর্তনের সংস্কারের প্রস্তাব আমরা দিয়েছি।’

সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া একচ্ছত্র ক্ষমতা স্বৈরতন্ত্রের জন্ম দেয়, এ জায়গায় যেন ভারসাম্য তৈরি করা হয়, সেই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানান মামুনুল হক।

‘হেফাজতে ইসলামের বিভিন্ন আন্দোলনে বহু মামলা এবং শত শত ব্যক্তি হতাহত হয়েছেন, অনেকে নিখোঁজ, তাদের সন্ধানে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। সব হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা। যারা দায়ী, যারা নির্দেশদাতা তাদেরও যাতে বিচারের মুখোমুখি করা যায়, সে দাবি জানানো হয়েছে’ বলেন তিনি।

মামুনুল হক বলেন, ‘২০১৩ সালের ৫ মে ও পরবর্তী সময়ে হেফাজতে ইসলামসহ সমমনা দলগুলোর নেতাদের বিরুদ্ধে দেওয়া মামলাগুলো এক মাসের মধ্যে নির্বাহী আদেশ অথবা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেন প্রত্যাহার করা হয় সেই প্রস্তাব দিয়েছি।’

অন্তর্র্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে ইসলামি দলের নেতারা আরও কিছু লিখিত প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার কাছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর দলীয় পদ থেকে পদত্যাগের বিধান করা; সংসদ সদস্যদের দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে ভোট দেওয়ার সুযোগ রাখা; ইসলামবিরোধী কোনো আইন যাতে প্রণয়ন করা না হয়; যোগ্য, সৎ ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন;

বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং সরকারের হস্তক্ষেপমুক্ত রাখার স্বার্থে বিচারপতি নিয়োগ ও বিয়োগের জন্য জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করা; শিক্ষাব্যবস্থা থেকে ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিতর্কিত বিষয়গুলো বাদ দিয়ে ধর্মীয় ও নৈতিকতা শিক্ষা সংযোজন এবং পুলিশ ও প্রশাসনকে সরকারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত রেখে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের পথ বন্ধ করা।

সংস্কারের আগে নির্বাচন চান না অলি 

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মতবিনিময়কালে সংস্কারের আগে কোনো অবস্থাতেই নির্বাচন চান না বলে মত দিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। তিনি বলেছেন, অবশ্যই দ্রুত নির্বাচন অন্তর্র্বর্তী সরকার, রাজনৈতিক দল ও দেশের জন্য ভালো। সেটি ৬ বা ৯ মাস পর হোক।

পাঠ্যপুস্তকে যত ধর্মবিরোধী সব লেখা বাদ দেওয়ার প্রস্তাবসহ এলডিপির পক্ষ থেকে ৮৩টি সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অলি আহমদ।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য একটি পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ। এখনো আমরা বাংলাদেশকে চাঁদাবাজমুক্ত করতে পারিনি। স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে দেশ, চাঁদাবাজমুক্ত হয়নি। এখনো কোর্ট-কাচারিতে ন্যায়বিচার হচ্ছে না। মানুষ ন্যায়বিচার না পেলে এ স্বাধীনতার কোনো দাম নেই।’

নির্বাচনের বিষয়ে আপনাদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা কী বলেছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলার কথা বলেছি। সবাই একটা ঐকমত্যে আসতে না পারলে দেশের সমস্যার সমাধান হবে না।’

তিনি বলেন, ড. ইউনূসকে তারা বলেছেন, ছোটখাটো কারণে যদি জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করা যায়, তাহলে হাজার হাজার ছাত্র-মানুষ হত্যা এবং ১৫ বছর ধরে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীর গুমের জন্য দায়ী আওয়ামী লীগের নিবন্ধন কেন বাতিল করা হবে না? তাদের নিবন্ধন বাতিল করা একান্ত প্রয়োজন।

সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে ভোটের দাবি ইসলামী আন্দোলনের 

অন্তর্র্বর্তী সরকারের কাছে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির ভোটের দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। তারা বলেছে, এতে দল ও মার্কা থাকবে। জনগণ ভোট দেবে, যে দল যেভাবে ভোট পাবে, সে অনুযায়ী তাদের প্রতিনিধি সংসদে থাকবেন, দেশ পরিচালনা করবেন। এখানে কোনো বৈষম্যমূলক অবস্থা সৃষ্টি করার মতো বিষয় থাকবে না।

বৈঠক শেষে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, প্রায় ১৬ বছর ধরে বিগত সরকারের দলীয়করণ, বিশেষ করে ২০১৪, ’১৮ ও ’২৪ নির্বাচনগুলো করার ব্যাপারে প্রশাসনে দায়িত্ব পালনকারীদের পাশাপাশি মিডিয়াসহ যারা সহযোগিতা করেছে, চিহ্নিত করে নির্ভরযোগ্য কমিশন গঠনের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসনসহ সর্বত্র ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

কত দিনের মধ্যে নির্বাচন, এমন কোনো সময়সীমার কথা জানিয়েছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি শিগগিরই। কিন্তু ব্যাপারটা তো আমাদের হাতে না।’

ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে ১৩টি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে নানা বিতর্ক তৈরি হওয়ায় বর্তমান সংবিধান বাতিল করে একটি কমিশনের মাধ্যমে নতুন সংবিধানের খসড়া তৈরি এবং গণভোটের মাধ্যমে তা অনুমোদন করা; গ্রহণযোগ্য তদন্ত কমিশন ও স্বতন্ত্র ট্রাইব্যুনাল গঠন করে জুলাই গণহত্যাকা-ের পাশাপাশি গত ১৬ বছরে সংঘটিত সব রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক হত্যাযজ্ঞ, গণহত্যা, গুম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার;

এ ক্ষেত্রে যেসব ব্যক্তি বা সংগঠন দোষী সাব্যস্ত হবে, তাদের রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে নিষিদ্ধ করা; দুর্নীতিবাজ ও বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের সব সম্পত্তি ক্রোক করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা এবং পাচারকৃত টাকা ফেরত আনার উদ্যোগ গ্রহণ, রাজনৈতিক কারণে মিথ্যা মামলা হলে তা প্রত্যাহার; চাঁদাবাজ, দখলবাজ, অবৈধ অস্ত্রধারী ও সন্ত্রাসীদের দমন করতে সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে দ্রুত যৌথ অভিযান শুরু ইত্যাদি।

গণফোরামের ২১ প্রস্তাব 

প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা ও সংবিধানবিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে রাত পৌনে ৮টার দিকে বের হয় গণফোরামের প্রতিনিধিদল। তাদের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে ২১টি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

ড. কামাল হোসেন অসুস্থ থাকায় তার পক্ষে গণমাধ্যমে কথা বলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ডা. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সংবিধান সংশোধনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা আমাদের মতামত চাইলে আমরা তাকে লিখিতভাবে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পাঠানোর বিষয়ে জানিয়েছি।

এ ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল, রাষ্ট্রের পাচারকৃত টাকা ফিরিয়ে আনতে প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেছি আমরা। সেই সঙ্গে ৫ আগস্টের পর আইনশৃঙ্খলার যে অবনতি ঘটেছে, তা দ্রুত স্বাভাবিক করতেও আমরা বলেছি। আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে।’

জাতীয় পার্টি : রাত ৮টা ১০ মিনিটে আলোচনা শেষে বের হয় জাতীয় পার্টির (জিএম কাদের) প্রতিনিধিদল। এ সময় দলের পক্ষে মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে পারে না দলীয় চিন্তা থেকে। বর্তমান সরকার যেহেতু ছাত্র-জনতার সরকার তাই তারা সংস্কার আনুক। সংস্কার করতে যেটুকু সময় প্রয়োজন এই সরকারকে জাপা তা দেবে। এ সরকারের প্রতি জাপা চেয়ারম্যান পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায় ভারসাম্য আনার কথা বলেছি, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগের সংস্কারের কথা বলেছি। জিনিসপত্রের দাম নাগালের মধ্যে আনার উদ্যোগ নিতে বলেছি।’

প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের ব্রিফিং 

সব দলের বৈঠক শেষে রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার করার কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। সংবিধানকে নতুন করে লেখা, নাকি সংশোধন করা দরকার এমন প্রশ্ন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। তখন অনেকেই বলেছেন, ক্ষমতার ভারসাম্য নিয়ে আসা। প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানো। আইন ও বিচার বিভাগের সংস্কারের কথা বলেছেন। শিক্ষানীতির আমূল পরিবর্তনের কথা বলেছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কার প্রস্তাবের ওপর নির্ভর করবে এ সরকার কত দিন থাকবে। এখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দল সময় বেঁধে দেয়নি। এ সরকার গঠনের পর থেকে সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় রাষ্ট্রের সংস্কার। আমরা মনে করি, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে একটা পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা দেবেন প্রধান উপদেষ্টা।’

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেন, নির্বাচন নিয়ে অনেকের মধ্যে সংশয় আছে। আশঙ্কা আছে। নির্বাচন কীভাবে হবে? প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্য উপদেষ্টারা ধারাবাহিক আলোচনার অংশ হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য শুনেছেন। বক্তব্য শেষে তাদের দেওয়া প্রস্তাবগুলো যাচাই-বাছাই শেষে রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা দেবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে মাহফুজ আলম বলেন, ‘জনগণের কাছেই ক্ষমতা হস্তান্তর হবে। জনগণই তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। এখনকার অগ্রাধিকার হচ্ছে আমাদের সংস্কারগুলো করা। আগে সংস্কার করতে হবে।’

রূপরেখা কি সংস্কার না ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয় নিয়ে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এতে উভয়ই থাকবে। প্রধান উপদেষ্টা মূলত সংস্কারের রূপরেখা দেবেন। সংস্কারের ভেতরেই অন্তর্ভুক্ত আছে কখন, কীভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে।

প্রিয় নওগাঁ/এফএস


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর