প্রকাশিত:
২৪ আগষ্ট ২০২৪, ১৪:১০
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট ও কন্টিনজেন্টসমূহ গত ২৪ ঘণ্টায় বন্যা কবলিত জেলাসমূহে প্রায় ৫৫টি বোট ও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে আনুমানিক ৯ হাজার ৫০০ বন্যাদুর্গত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে প্রেরণ করেছে। পাশাপাশি প্রায় পাঁচ হাজার বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ ও খাদ্যসামগ্রী সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক বিতরণ করা হয়েছে। খবর নিউজ বাংলা।
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা দেশের ছয়টি জেলায় ২৪ ঘণ্টায় আনুমানিক সাড়ে ৯ হাজার মানুষকে উদ্ধার করেছে বলে শনিবার জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআরের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় বর্তমানে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, কুমিল্লা, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং খাগড়াছড়িতে বন্যার্তদের উদ্ধার কার্যক্রমে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট ও কন্টিনজেন্ট নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
‘বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট ও কন্টিনজেন্টসমূহ গত ২৪ ঘণ্টায় বন্যা কবলিত জেলাসমূহে প্রায় ৫৫টি বোট ও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে আনুমানিক ৯ হাজার ৫০০ বন্যাদুর্গত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে প্রেরণ করেছে। পাশাপাশি প্রায় পাঁচ হাজার বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ ও খাদ্যসামগ্রী সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক বিতরণ করা হয়েছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘এ ছাড়াও বন্যা কবলিত জেলাসমূহে চিকিৎসা সহায়তার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মেডিক্যাল টিম মোতায়েন রয়েছে। বন্যাদুর্গত এলাকায় চিকিৎসা সেবা প্রদানের পাশাপাশি গত ২৩ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে ফেনীর ফুলগাজী থানা হতে অন্তঃসত্ত্বা মোছাম্মৎ সুমি বেগমকে মুমূর্ষু অবস্থায় সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধার করে কুমিল্লা সিএমএইচে প্রেরণ করা হলে তিনি পুত্রসন্তান প্রসব করেন।
‘সশস্ত্র বাহিনীর সব পদবির সদস্যদের এক দিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ বন্যার্তদের সহযোগিতায় প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে জমার পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী সদস্যরা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জরুরি ত্রাণ সংগ্রহের কার্যক্রমও পরিচালনা করছেন।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৩ আগস্ট সেনা ও বিমান বাহিনী প্রধান এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) হেলিকপ্টারে করে বন্যাদুর্গত এলাকাগুলো পর্যবেক্ষণ করেন। তারা উদ্ধারকাজে থাকা সশস্ত্র বাহিনী সদস্যদের প্রয়োজনীয় দিকনিদের্শনা দেন।
প্রিয় নওগাঁ/এফএস
মন্তব্য করুন: