বন্যাদুর্গত এলাকার অসহায় মানুষদের উদ্ধার তৎপরতা, ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ, চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বিজিবি।

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর বন্যাদুর্গত এলাকার অসহায় মানুষদের উদ্ধার তৎপরতা, ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ এবং বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) । শুক্রবার (২৩ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বিজিবি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এখন পর্যন্ত বন্যাদুর্গত ২,৮৮৫ জনকে উদ্ধার, ৫,৯৪৫ জনের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ এবং ৯৮৬ জনকে চিকিৎসা ও ওষুধ প্রদান করেছে বিজিবি।

আরও জানানো হয়, শুক্রবার (২৩ আগস্ট) কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) দায়িত্বপূর্ণ বিবির বাজার স্থলবন্দর, গাজীপুর ও পাশ্ববর্তী এলাকার পানিবন্দি ৪০০ জনকে পরিবারের মালামালসহ উদ্ধার করেছে। বুড়িচং এ গোমতী নদীর তীরবর্তী বেড়িবাঁধের কিছুটা অংশে ভাঙন দেখা দিলে বিজিবি সদস্যরা স্থানীয় জনসাধারণকে সাথে নিয়ে মাটি ভর্তি বস্তা দিয়ে সেটি মেরামত করে।

এছাড়াও কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের উদ্যোগে ফেনী জেলার বন্যাদুর্গত ২০০০ জন মানুষকে রান্না করা ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়।

রাঙামাটিতে বন্যাদুর্গত ৫২০টি অসহায় পরিবারের সদস্যদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করেছে বিজিবির মারিশ্যা ব্যাটালিয়নের (২৭ বিজিবি) । মুসলিম ব্লক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রের ১১৪ জনকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ঔষধ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মোকাবিল, কুরমা ও চাম্পাপাড়া সীমান্তবর্তী এলাকায় ৬০০টির অধিক পরিবারের মাঝে শুকনো খাদ্য সামগ্রী এবং বিনামূল্যে ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসাসেবা ও ঔষধ সামগ্রী বিতরণ করেছে বিজিবির শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়ন (৪৬ বিজিবি) ।

এছাড়াও বিজিবির খাগড়াছড়ি সেক্টরের তত্ত্বাবধানে খাগড়াছড়ি ব্যাটালিয়ন (৩২ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বন্যাদুর্গত ১২৫টি অসহায় পরিবারে মাঝে জরুরী শুকনা ত্রাণসামগ্রী হিসেবে চাল, ডাল, তৈল, আলু ও পিয়াজ বিতরণ করে। এছাড়া ডাইনচন্দ্রবাড়ী, রুপসেনপাড়া এবং নন্দকুমার বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার ৬০টি অসহায় পরিবারের মাঝেও শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

প্রিয় নওগাঁ/এফএস