প্রকাশিত:
১৫ অক্টোবার ২০২৩, ১৬:৪৫
প্রধানমন্ত্রী চাইলেও এবার ভোটারবিহীন নির্বাচন করতে পারবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ‘যেভাবেই হোক এ দেশে নির্বাচন হবেই’ শনিবার কাওলায় আওয়ামী লীগের সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আজ রোববার দুপুরে এক সেমিনারে তিনি এই মন্তব্য করেন। খবর কালেরকণ্ঠ।
মির্জা ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনা চাইলেন যে, বিনা ভোটারের মাধ্যমেই তিনি নির্বাচিত হবেন… সেটা এবার হবে না। ২০১৪ সালে যা করতে পেরেছেন, ২০১৮ তে যেটা করতে পেরেছেন এবার ২০১৪ সালে সেই নির্বাচন আপনি করতে পারবেন। কারণ এবার মানুষ যেভাবে দাঁড়িয়েছে ঘুরে তাতে করে সেটা সম্ভব হবে না।
উপস্থিত সকলের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, একটা কথা সবসময় মনে রাখতে হবে, আমরা একা নই। আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে পশ্চিমা বিশ্ব তাদের কমিটেড টু ডেমোক্রেসি… এটার ওপর আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে। তারা যে কমিটমেন্টে আছে সেই কমিটমেন্ট আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করছে।
এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। একই সঙ্গে এটাও মনে রাখতে হবে আমরা যারা লড়াই করছি, সংগ্রাম করছি, এটাকে সামনে আরো দৃঢ়তার সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দেখানো পথ, তারেক রহমান সাহেবের দেখানো পথে আমাদের বিজয় আসবেই। রাজপথেই ফয়সালা করার জন্য আমরা রাজপথে নেমেছি, চূড়ান্ত বিজয় অবশই আমরা অর্জন করতে সক্ষম হব, সেখানে বাংলাদেশের দ্বিতীয় মুক্তি সম্ভব হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আসল কথা হচ্ছে, উনি (শেখ হাসিনা) কালকে বলে দিয়েছেন তোমরা যে যা বলো ভাই আমার সোনার হরিণ চাই। অর্থাৎ যে যাই বলুক, মার্কিন যুক্ত যাই বলুক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন যাই বলুক, আমরা রাজনৈতিক দলগুলো যাই বলি, উনার ওই সোনার হরিণ চাই। অর্থাৎ ক্ষমতায় কাউকে যেতে দেব না। টোটাল সংকটটা ওই জায়গায়।
বোরহান উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আব্দুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বক্তব্য রাখেন।
এ ছাড়া বিএনপির মনিরুল হক চৌধুরী, মিজানুর রহমান মিনু, ফজলুর রহমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, ইসমাইল জবিউল্লাহ, নাসের রহমান, হারুনুর রশীদ, শামা ওবায়েদ, এ বি এম আশরাফ উদ্দিন নিজাম, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার খন্দকার লুতফুর রহমান, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহিউদ্দিন ইকরাম প্রমুখ নেতারা ছিলেন।
প্রিয় নওগাঁ/এফএস
মন্তব্য করুন: