প্রকাশিত:
১০ অক্টোবার ২০২৩, ২০:৪৩
নাটোরের জংলী হামিদিয়া ফাযিল মাদ্রাসার অফিস সহকারী মোস্তফা কামালকে বেধড়ক পিটিয়েছেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও তাঁর বাবা সাবেক সভাপতি হাসেম বেপারি। সোমবার বিকেলে মোস্তফা কামাল সদর থানায় এ অভিযোগ দেন।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, রোববার দুপুরে এনটিআরসির মাধ্যমে মাদ্রাসায় ৯ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ডোনেশন হিসেবে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা নেওয়া হয়। এ টাকা মাদ্রাসার কাজে ব্যবহারের কথা জানান অধ্যক্ষ।
কিন্তু সভাপতি তাঁর কাছে জমা দিতে বলেন। এতে রাজি না হওয়ায় সভাপতি সাইফুল ইসলাম অধ্যক্ষকে গালাগাল করেন। এ সময় অফিস সহকারী তাঁকে গালাগাল না করে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের পরামর্শ দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সভাপতি ও তাঁর বাবা সাবেক সভাপতি হাসেম বেপারি তাঁকে বেধড়ক মারপিট করেন।
মাদ্রাসার সভাপতি সাইফুল ইসলাম ডোনেশনের টাকা নেওয়ার বিষয়টি মিথ্যা বলে দাবি করেন। এ ছাড়া অফিস সহকারী মোস্তফা কামালকে মারধরের অভিযোগও অস্বীকার করেন তিনি। তিনি বলেন, আমার বৃদ্ধ বাবার দেওয়া জমির ওপর মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত। তাঁকে উদ্দেশ করে অশালীন ভাষায় কথা বললে তর্কবিতর্ক হয়। পরে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়।
অফিস সহকারী মোস্তফা কামাল বলেন, আপস নয়, এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই। সাবেক সভাপতি হাসেম বেপারি আরও তিনবার মাদ্রাসায় শিক্ষকদের মারপিট করেছেন।
অধ্যক্ষ মাওলানা জালাল উদ্দিন ৯ শিক্ষকের কাছে থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলেছেন। তাঁর ভাষ্য, রোববার সভাপতি ও অফিস সহকারীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়। পরদিন উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছে।
ডোনেশনের বিষয়ে কথা বলতে নিয়োগপ্রাপ্ত এনটিআরসির ৯ শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
সদর থানার ওসি নাছিম আহম্মেদ জানান, অভিযোগের বিষয়টি তাঁর জানা নেই। ঘটনা জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রিয় নওগাঁ/নাটোর
মন্তব্য করুন: