প্রকাশিত:
৬ অক্টোবার ২০২৩, ১৮:৩০
বগুড়ার নন্দীগ্রামে জরিয়ান বেওয়া জরিনা (৭০) নামে এক বৃদ্ধাকে মারধর ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার রাতে উপজেলার ওমরপুর সড়কপাড়া জেলেপল্লির বাড়ির উঠানে এ ঘটনা ঘটে। হত্যায় জড়িত সন্দেহে তার নাতি মহির উদ্দিনকে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার জরিনার মেয়ে বাদী হয়ে থানায় ভাতিজা মহিরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন।
পুলিশ, এজাহার সূত্র ও স্বজনরা জানান, নিহত জরিয়ান বেওয়া জরিনা নন্দীগ্রাম উপজেলার ওমরপুর সড়কপাড়া জেলেপল্লির মৃত উকিল উদ্দিনের স্ত্রী। আর মহির উদ্দিন তার ছেলে মোহাম্মদ আলীর সন্তান।
মানসিক প্রতিবন্ধী বৃদ্ধা জরিনা বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের পাশে টিনশেড ঘর তুলে ছেলে ও নাতিদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন। নাতি মহির উদ্দিন মাদকাসক্ত হওয়ায় দাদি জরিনা তাকে শাসন করতেন। অতিরিক্ত মাদক সেবনের কারণে মহির মানসিক ভারসাম্য হরিয়ে ফেলে।
খাবার দেওয়া নিয়ে বুধবার বিকালে মহিরের সঙ্গে দাদি জরিনার ঝগড়া হয়। সে দাদিকে লাথি দিয়ে মাটিতে ফেলে মারধর করে। রাত ৮টার দিকে উঠানে শরীরে কাদা মাখা বৃদ্ধা জরিনার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
খবর পেয়ে নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। মহির তার দাদিকে গলায় রশির ফাঁস দিয়ে হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হয়। অস্বাভাবিক আচরণ করায় পুলিশ তাকে আটক করে।
তার বাবা মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, ঘটনার সময় বাড়িতে মহির ছাড়া আর কেউ ছিল না। বাড়ির উঠানের কাদামাটিতে তার মা জরিনার মরদেহ পড়েছিল।
নন্দীগ্রাম থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মানসিক ভারসাম্যহীন মহির উদ্দিন তার মানসিক প্রতিবন্ধী দাদি জরিনাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে।
জরিনার মেয়ে থানায় ভাতিজা মহিরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। বৃহস্পতিবার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া হাজতে প্রেরণ ও বৃদ্ধার লাশ বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রিয় নওগাঁ/এফএস
মন্তব্য করুন: