প্রকাশিত:
৩০ সেপ্টেম্বার ২০২৩, ১৫:২৮
বেশ কিছুদিন ধরেই শিরোনামে ছিলেন কলকাতার অভিনেত্রী সায়ন্তিকা ব্যানার্জী। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কোনো চলচ্চিত্রে কাজ করতে যাচ্ছিলেন তিনি। আর শুরুতেই পড়েন তুমুল বিতর্কের মুখে।
সিনেমাটির নায়ক জায়েদ খান, সায়ন্তিকা ও প্রযোজক মনিরুল ইসলামের ত্রিমুখী পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে বেশ আলোচনায় উঠে এসেছিল তাদের আসন্ন চলচ্চিত্র ‘ছায়াবাজ’।
অবশেষে সেই সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে সায়ন্তিকা ব্যানার্জীকে। তার বদলে দেশি নায়িকা নিয়ে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন প্রযোজক মনিরুল ইসলাম।
প্রযোজক বলেন, ‘এত সব মিথ্যাচার আর নিতে পারছি না। এই ছবির কাজ আর করব না। যদি করিও, সায়ন্তিকাকে বাদ দিয়ে দেশি শিল্পী নিয়ে নতুন করে এই ছবির কাজ শুরু করব।’
এদিকে মনিরুল ইসলাম জানান, তিনি মূলত ওয়েব সিরিজ বানাতে চেয়েছিলেন। জায়েদ খানের অনুরোধে পরিকল্পনা বদল করেন তিনি। তার ভাষায়, ‘এই গল্প নিয়ে একটি ওয়েব ফিল্ম বানানোর কথা ছিল।
কিন্তু জায়েদ খানের অনুরোধেই এই সিনেমা শুরু করি। নইলে এই ছবির কোনো পরিকল্পনা ছিল না আমার। জায়েদ খান ও সায়ন্তিকা মিলে আমাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে।’
অন্যদিকে জায়েদ খান বলেন, ‘এই শুটিং এতটাই অব্যবস্থায় ভরা ছিল যে নায়িকার কস্টিউম, হোটেল ভাড়া, খাবারের বিলও আমি দিয়েছি। এক লাখ ৩০ হাজার হোটেল বিল এসেছিল।
প্রযোজক ৯৭ হাজার বিল দিয়ে চলে গেছে। বাকি টাকা আমি দিয়েছি। প্রযোজক প্রতিনিয়তই মিথ্যাচার করছেন। তার কথা–কাজে মিল নেই।’
তবে মনিরুল ইসলাম জানালেন, তিনি সব বকেয়া পরিশোধ করে দিয়েছেন। তার কথায়, ‘৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভাড়া বুঝিয়ে দিয়ে আমরা ঢাকা চলে এসেছি। এরপর শুনেছি, ৭ সেপ্টেম্বরও কারা যেন ছিলেন হোটেলে। সেই টাকা তো আমি দেব না।
কারণ, আমার শুটিং প্যাকআপ হয়েছে ৬ সেপ্টেম্বর। আর জায়েদ খানকে নায়িকার ড্রেস দিতে হবে কেন? আমি সায়ন্তিকার ড্রেস বাবদ আলাদা ৫০ হাজার রুপি দিয়েছি। পারিশ্রমিকের মধ্যেই জায়েদ খানের ড্রেসের টাকা ধরা হয়েছে।’
এর আগে গেল ৩০ আগস্ট শুটিংয়ের জন্য ঢাকায় আসেন সায়ন্তিকা। প্রথম লটের শুটিংয়ের মাঝপথে কলকাতা ফিরে যান তিনি। দেশে ফিরে সিনেমার প্রযোজকের বিরুদ্ধে অপেশাদারিত্বের অভিযোগ আনেন।
প্রিয় নওগাঁ/এফএস
মন্তব্য করুন: