প্রকাশিত:
৩০ সেপ্টেম্বার ২০২৩, ১৭:১৫
মসলাজাতীয় খাবারের মধ্যে আদা অন্যতম। যা ছাড়া তরকারী রান্না প্রায় অসম্ভব। বাংলাদেশে এই মশলা খুব সীমিত পরিমাণ চাষ হয় বলে চাহিদা মেটাতে প্রতিবছরই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।
কিন্তু সুখবর হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ এই মসলা পণ্যের চাষ হচ্ছে উত্তরের সবজি ভাণ্ডার নওগাঁয়। আশার খবর এক কিংবা দুইজন নয় জেলাজুড়ে বহু কৃষক ব্যাগিং পদ্ধতিতে আদা চাষ করেছেন এবার।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় জনপ্রিয় হচ্ছে ‘মরু গোলাপ’
কথা হয় নওগাঁর রানীনগর উপজেলার আদাচাষি জহুরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, সম্প্রতি ইউটিউবে বস্তায় আদাচাষ পদ্ধতি দেখেন তিনি। সিদ্ধান্ত নেন নিজেই শুরু করবেন এই মসলার চাষ। নিয়মানুসারে শুরুতেই মাটি প্রস্তুত করেন তিনি।
যেখানে আনুপাতিকহারে বালি, ছাই, জৈব সার ও মাটিসহ কিছু উপদানের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে রেখে দেন মাসখানেক। এরপর নিজের কয়েক শতক জমিতে ১৬শটি ব্যাগে ভরিয়ে তাতে রোপণ করেন ৩টি করে চারা।
আরও পড়ুন: কদবেল বাগানে বাজিমাত খোরশেদের
কৃষক জহুরুল জানান, সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এই পতিত জমিতে খুবই সীমিত খরচ আর শ্রমে ফসল ঘরে তোলা যায়। ছাঁয়াযুক্ত পতিত জমিতেই এই ফসল সবচেয়ে ভালো হয়। একেকটি ব্যাগে কমপক্ষে ২ কেজি পর্যন্ত আদা পাবার আশা করেন জহুরুল।
জহুরুলের মত জেলার আত্রাই, সদর, বদলগাছীসহ কয়েকটি উপজেলায় হয়েছে ব্যাগিং পদ্ধতিতে আদা চাষ। আত্রাই উপজেলার আরেক চাষি মিনহাজ উদ্দিন বলেন, নওগাঁর আবহাওয়ায় এই পদ্ধতি খুবই আশা দেখাচ্ছে। কেবলমাত্র কৃষকরাই নয়; ঘরের ছাদ কিংবা বাড়ির যেকোনো জায়গায় এটি রোপণ করা যায়। যা থেকে বাড়ির চাহিদা মেটানো সম্ভব।
আদা চাষে জমির চেয়ে রোগবালাইয়ের আক্রমণ হয় কম ব্যাগিং পদ্ধতিতে, বলছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: সৌদির খেজুর বাগান এখন রাণীনগরে
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সম্ভাবনার কথা ভেবে আগ্রহীদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। এখন পর্যন্ত নওগাঁর ১১ উপজেলায় অন্তত ৩৩ জন কৃষক ব্যাগিং পদ্ধতিতে আদা চাষ শুরু করেছেন বলেও ধারণা দেন এই কৃষি কর্মকর্তা।
প্রিয় নওগাঁ/এফএস
মন্তব্য করুন: